বধ্যভূমি

 বধ্যভূমি

একরাশ কালো ধোঁয়া উড়ে এসে 

স্মৃতির মলীন আঁচলকে পিছনে টানে, 

নিভে গেছে কবে দাবানলের গ্রাস, 

জ্বলছে আজও কিছু মানুষের পাঁজরে। 


সকালের রোদ্দুরে সবই অতীব স্বাভাবিক। 

হঠাৎ,

একরাশ কালো মেঘ শানালো আক্রমণ

মৃত্যুর শমন নিয়ে যমদুতের আগমন।  

"এনোলা-গে" র পেট চিরে বেড়ানো "লিটিল-বয়"

হিরোশিমার বুকে নাচালো প্রলয় নাচন, 

জিহ্বায় সহস্র সূর্যের দীপ্ত স্বাদ,  

মূর্তিমান বিভীষিকার পদদলনে মৃত্যুর মিছিল। 

ধরিত্রী বিজয়ের সৃষ্টি পৃথিবীর বৃহতম শ্বশান। 


ঘুমাক অজস্র বিদেহী আত্মা শান্তিতে।  

পুনরাবৃত্তি না করার শপথ নিয়ে 

পায়রা উড়ে বার্তা পাঠায় শান্তির। 

আগামী পৃথিবী ধরো ওই বলাকা

শিশুর বাসযোগ্য করার উড়াই ধ্বজা।  

এই আকাশেই জ্বালাবো আশার দীপ

থাকুক পার্থক্য শপথে আর পালনে 

ধ্বংস হোক একশোটা পৃথিবী নিমেষে। 

অহঙ্কারের বুলিতে ক্ষমতার আগুন জ্বালি 

হিংসার পথে চলেছে অস্থিহীন মানবজাতি 

ক্রীড়ানকের অজানা ইশারায় প্রমাদ নাচন।  

তবু ,

বধ্যভূমিতে আশার আলোক শিখার আগমন। 



#28 বছর পরের অনুভূতি:

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এখন বারুদের গন্ধ। অস্থির এই সময়ে প্রাসঙ্গিক মনে হল আমার এই লেখাটা।  মনে আছে, কাগজের সম্পাদকীয় পাতাতে একটি স্মৃতিচারণ প্রতিবেদন পড়েছিলাম। শিরা-উপশিরা, রোমকূপ দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেছিলো। 06-08-1945 সালের অ্যাটম বোমা বিস্ফোরণ হিরোশিমায়, বলা হয় 2 লক্ষ 26 হাজারেরও বেশি সাধারণ মানুষ মারা গেছিলো এই পারমানবিক অস্ত্র- নিক্ষেপনে। ডায়েরীর পাতা বলছে লেখাটা লিখেছিলাম 08-08-1995 সালে। আমার কলেজের 1996 সালের বার্ষিক পত্রিকাতে এই লেখাটা প্রকাশিত হয়েছিল। 

আমাদের এই পোস্টটি ভালো লেগেছে ? ভবিষ্যতের  পোস্টগুলি মিস না করার জন্য অনুসরণ করুন 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ